দাম্পত্য জীবন, ভালবাসা
দাম্পত্য জীবন এক ধরণের সাবলেট। সাবলেট অসামর্থ্যের কষ্টকর প্রত্যাশা,
নিষ্ঠুর বাস্তবতা। এটি অনিচ্ছাসত্ত্বেও ইচ্ছা করার মত একটি নষ্টকর হতাশা।
সাবলেট ইচ্ছে করে দেয় কিন্তু বাধ্যগত ইচ্ছা; যেখানে স্বতস্ফূর্ততা থাকে না। গ্রহীতার েেত্রও একই কথা। অন্যকোন উপায় থাকে না বলে মানুষ সাবলেট দেয়, সাবলেট নেয়। এটি দাতা-গ্রহীতা উভয়ের কষ্ট। বাসার আয়তন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও অনেকে সাবলেট দিয়ে থাকে। সাবলেট দিতে না পারলে ভাল হত, খুব ভাল হত। কিন্তু দিতে হয়। না দিয়ে উপায় থাকে না। বিয়েও ঠিক এমন। না করতে পারলে ভাল কিন্তু না করে পারে না। সবাই তো আর সব কিছু পারে না।
সাবলেটের মত কষ্ট হলেও দাম্পত্য জীবন না করে উপায় থাকে না। তাই মানুষ বিয়ে করে। বিয়ে এবং সাবলেটের মধ্যে কিছু পার্থক্যও আছে। সাবলেট একমুখী বিয়ে দ্বিমুখী। সাবলেটে দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক খুবই হালকা। অম্ল হলে যে কোন সময় সহজে বিচ্ছিন্ন হবার সুযোগ থাকে। বিয়েতে তা একটু কঠিন।
সুঃখের খোজে দুঃখে ঝাপিয়ে পড়াই হচ্ছে বিয়ে। কেউ কিন্তু শান্তির জন্য বিয়ে করে না। সুঃখের প্রত্যাশায় করে। কিন্তু সুঃখ পাওয়া যায় না। শান্তির তো কথায় নেই। যে দাম্পত্য জীবন সুখের সেটি দাম্পত্য জীবন নয়। ওয়েটিং রুম।
কলহ দাম্পত্য জীবনের সিম্বল। অশান্তি এর অলঙ্কার, বাক্যবান তার সঙ্গীত। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ না থাকলে বুঝতে হবে দম্পতি নয় তারা। লিভিং টুগেদার। অশান্তি না থাকলে বুঝতে হবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে বোবা এবং অন্ধ। যে পুরুষ স্ত্রীর বাক্যবানে জর্জরিত হয় না ধরে নিতে হবে তার ঘরে বউ নেই, বউরূপী একজন দাসি আছে।
সংসার সৃষ্টির বিভোর কল্পনা দম্পতির উদগ্রীবতা। কিন্তু হায়, সংসারে ঢুকে মানুষ বুঝতে পারে এটি স্রেফ মরীচীকা- ঐশ্বর্য্যময় জাহান্নাম। কষ্টকর হাসির লুকানো যন্ত্রণায় দাম্পত্য জীবন অহর্নিশ উভয়কে ভোগায়। মানুষ এত কিছু আবিষ্কার করল কিন্তু প্রশান্তিময় দাম্পত্য জীবন উপভোগের কৌশলটা এখনও আবিষ্কার করতে পারল না।
সংসারের মত এত আকর্ষণীয় অসুন্দর, এত মোহময় বিতৃষ্ণা এবং এত প্রয়োজনীয় ব্যস্ততা আর কিছু নেই। তাই জ্ঞানীর সংসারকে নন্দিত নরক বলে থাকেন।
স্বামী-স্ত্রী নিয়ে দাম্পত্য জীবন আবর্তিত। দুজনের মধ্যে বিশ্বাস থাকা চাই,
অসুন্দর জিনিস সবসময় বিকর্ষক হতে পারে তবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সবসময় ফেলনা নয়, বরং প্রয়োজনের চেয়েও ঢের। অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসও অনেক সময় খুব কষ্টের হয়ে দাড়ায়। কলমের কালি কাপড়ে পড়লে কারও ভাল লাগে না। প্রচণ্ড খারাপ হয়ে যায় মন। কালি কলমের মল এবং অবাঞ্চিত বমি। মল ও বমি দুটো যতই অস্পৃশ্য হোক, জৈব সারের উৎস, উর্বরতার ত্রে। কলম মলের উদর। লেখা পরিশীলিত প্রতারণা। যে লেখা যত পরিশীলিত সে লেখা তত সুচালো প্রতারণা। তাই মানুষ যত পড়ে তত আলোর প্রত্যাশায় রিডিং স্বপ্নের সাদা আলোয় ডুবে যায়। যে পড়ে না বিশ্বাসই তার যথেষ্ট। বিশ্বাস যার যথেষ্ট, সে পাশবিক।
কৃশকায় লোকটি অনেক কষ্টে রাজার ডানদিকে এসে দাঁড়ায়। রাজা এবার নিশ্চিত, লোকটি বউকে ভয় পায় না। একজন হলেও অন্তত আছে। রাজা বড় বাঁচা বেঁচে যান। গত রাতে বউ বলেছে- বউকে ভয় পায় না এমন পুরুষ তার রাজ্যে নেই। চ্যালেজ্ঞ করেছিলেন রাজা রাণীর সাথে।
রাজা আপ্লুত। দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন কৃষকায় লোকটিকে।
আমি আপনাকে আমার সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি বানাব। আমার সেনাপতিও বামদিকে। তুমি তার চেয়ে সাহসী। এমন সাহসী লোকই আমার রাজ্যের সেনাপতি হবার একমাত্র যোগ্যতা রাখে।
সম্রাট কৃশকায় লোকটির হাত ধরে বললেন: বীর বলুন,কীভাবে এত পাতলা শরীরে বউকে ভয় না পেয়ে চলা সম্ভব? আপনি কীভাবে এমন দুর্লভ মতা অর্জন করলেন? সত্যি আপনি কী বউকে ভয় পান না?
জ্বী না।
তাহলে ডানে দাঁড়ালে কেন? তোমাকে তো মরতে হবে।
রাজার সম্বোধন আপনি হতে তুমিতে নেমে আসে। বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
বল, জল্লাদ প্রস্তুত হও।
কৃশকায় কাঁপছে: বউয়ের জন্য আমার মরতে হচ্ছে।
কেন?
আসার সময় বউ ডানে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল। হুজুর, বউকে বলেছিলাম, বামে দাঁড়াব। কিন্তু বউ ধমক দিয়ে বলেছে; মিনসের পুত যা বলছি তা-ই করবে। আমি বলেছিলাম, তাহলে জল্লাদ আমাকে কতল করে ফেলবে। বউ রেগেমেগে ধাক্কা দেয়: নচ্চার, যা বলি তাই শুন। বামদিক লোকারন্য থাকবে। ডানে কেউ দাঁড়াবে না। বামে অসংখ্য লোকের ভীড়ে তোমার অসুবিধা হতে পারে।
আমি বলেছিলাম: কিন্তু ডানে দাঁড়ালে স্রমাট মেরে ফেলবে।
বউ প্রচণ্ড ধমক দিয়ে বলেছিল: আমার কথার যেন নড়চড় না হয়। হুজুর এ জন্য আমি বউয়ের ভয়ে ডানে দাঁড়িয়েছি। বউয়ের ভয় মৃত্যু ভয়ের চেয়েও ভীতকর।
বউ পছন্দ করে না এমন কাজ কেউ সাধারণত বউয়ের সামনে করে না, করতে পারে না। কিন্তু বউয়ের অগোচরে করে থাকে অনেকে অনেক কিছু। বউ তা জানে না। স্বামীধন ভাবে বউ কী বোকা! কিচ্ছু জানছে না।
কিন্তু বউও যে স্বামীর অবর্তমানে তার চেয়েও খারাপ কিছু করতে পারে তা বোক হদ্দ স্বামী ঘুণারেও ভাবে না। ভাবে তার বউয়ের সীতা। তাই বউ ভাবে স্বামীরা আসলেই হাবা, গর্দভের গর্দভ। স্বামী কত গর্দভ তা রাস্তায় স্বামীর হাতে লাগেজ আর গতরে বাচ্চা দুটোর ভারে ন্যুজ্ব দেখে অনুমান করা যায়।
বউ আর বস উভয়ে সর্বোত্তম প্রত্যয়, আদর্শের কাণ্ডারি, কল্যাণের সাগর।
যা কিছু উত্তম, যা কিছু মানবীয়, যা কিছু যৌক্তিক তা বউ এবং বস। বউ আর বসের সবকিছু অসাধারণ তুলনীহীন এবং গর্বিত প্রকাশ। এর কোন তুলনা নেই।
তাই বউ এবং বসের কাছে সব সময় ছোট থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সাবলেট ইচ্ছে করে দেয় কিন্তু বাধ্যগত ইচ্ছা; যেখানে স্বতস্ফূর্ততা থাকে না। গ্রহীতার েেত্রও একই কথা। অন্যকোন উপায় থাকে না বলে মানুষ সাবলেট দেয়, সাবলেট নেয়। এটি দাতা-গ্রহীতা উভয়ের কষ্ট। বাসার আয়তন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও অনেকে সাবলেট দিয়ে থাকে। সাবলেট দিতে না পারলে ভাল হত, খুব ভাল হত। কিন্তু দিতে হয়। না দিয়ে উপায় থাকে না। বিয়েও ঠিক এমন। না করতে পারলে ভাল কিন্তু না করে পারে না। সবাই তো আর সব কিছু পারে না।
সাবলেটের মত কষ্ট হলেও দাম্পত্য জীবন না করে উপায় থাকে না। তাই মানুষ বিয়ে করে। বিয়ে এবং সাবলেটের মধ্যে কিছু পার্থক্যও আছে। সাবলেট একমুখী বিয়ে দ্বিমুখী। সাবলেটে দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক খুবই হালকা। অম্ল হলে যে কোন সময় সহজে বিচ্ছিন্ন হবার সুযোগ থাকে। বিয়েতে তা একটু কঠিন।
সুঃখের খোজে দুঃখে ঝাপিয়ে পড়াই হচ্ছে বিয়ে। কেউ কিন্তু শান্তির জন্য বিয়ে করে না। সুঃখের প্রত্যাশায় করে। কিন্তু সুঃখ পাওয়া যায় না। শান্তির তো কথায় নেই। যে দাম্পত্য জীবন সুখের সেটি দাম্পত্য জীবন নয়। ওয়েটিং রুম।
কলহ দাম্পত্য জীবনের সিম্বল। অশান্তি এর অলঙ্কার, বাক্যবান তার সঙ্গীত। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ না থাকলে বুঝতে হবে দম্পতি নয় তারা। লিভিং টুগেদার। অশান্তি না থাকলে বুঝতে হবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে বোবা এবং অন্ধ। যে পুরুষ স্ত্রীর বাক্যবানে জর্জরিত হয় না ধরে নিতে হবে তার ঘরে বউ নেই, বউরূপী একজন দাসি আছে।
সংসার সৃষ্টির বিভোর কল্পনা দম্পতির উদগ্রীবতা। কিন্তু হায়, সংসারে ঢুকে মানুষ বুঝতে পারে এটি স্রেফ মরীচীকা- ঐশ্বর্য্যময় জাহান্নাম। কষ্টকর হাসির লুকানো যন্ত্রণায় দাম্পত্য জীবন অহর্নিশ উভয়কে ভোগায়। মানুষ এত কিছু আবিষ্কার করল কিন্তু প্রশান্তিময় দাম্পত্য জীবন উপভোগের কৌশলটা এখনও আবিষ্কার করতে পারল না।
সংসারের মত এত আকর্ষণীয় অসুন্দর, এত মোহময় বিতৃষ্ণা এবং এত প্রয়োজনীয় ব্যস্ততা আর কিছু নেই। তাই জ্ঞানীর সংসারকে নন্দিত নরক বলে থাকেন।
স্বামী-স্ত্রী নিয়ে দাম্পত্য জীবন আবর্তিত। দুজনের মধ্যে বিশ্বাস থাকা চাই,
অসুন্দর জিনিস সবসময় বিকর্ষক হতে পারে তবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সবসময় ফেলনা নয়, বরং প্রয়োজনের চেয়েও ঢের। অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসও অনেক সময় খুব কষ্টের হয়ে দাড়ায়। কলমের কালি কাপড়ে পড়লে কারও ভাল লাগে না। প্রচণ্ড খারাপ হয়ে যায় মন। কালি কলমের মল এবং অবাঞ্চিত বমি। মল ও বমি দুটো যতই অস্পৃশ্য হোক, জৈব সারের উৎস, উর্বরতার ত্রে। কলম মলের উদর। লেখা পরিশীলিত প্রতারণা। যে লেখা যত পরিশীলিত সে লেখা তত সুচালো প্রতারণা। তাই মানুষ যত পড়ে তত আলোর প্রত্যাশায় রিডিং স্বপ্নের সাদা আলোয় ডুবে যায়। যে পড়ে না বিশ্বাসই তার যথেষ্ট। বিশ্বাস যার যথেষ্ট, সে পাশবিক।
কৃশকায় লোকটি অনেক কষ্টে রাজার ডানদিকে এসে দাঁড়ায়। রাজা এবার নিশ্চিত, লোকটি বউকে ভয় পায় না। একজন হলেও অন্তত আছে। রাজা বড় বাঁচা বেঁচে যান। গত রাতে বউ বলেছে- বউকে ভয় পায় না এমন পুরুষ তার রাজ্যে নেই। চ্যালেজ্ঞ করেছিলেন রাজা রাণীর সাথে।
রাজা আপ্লুত। দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন কৃষকায় লোকটিকে।
আমি আপনাকে আমার সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি বানাব। আমার সেনাপতিও বামদিকে। তুমি তার চেয়ে সাহসী। এমন সাহসী লোকই আমার রাজ্যের সেনাপতি হবার একমাত্র যোগ্যতা রাখে।
সম্রাট কৃশকায় লোকটির হাত ধরে বললেন: বীর বলুন,কীভাবে এত পাতলা শরীরে বউকে ভয় না পেয়ে চলা সম্ভব? আপনি কীভাবে এমন দুর্লভ মতা অর্জন করলেন? সত্যি আপনি কী বউকে ভয় পান না?
জ্বী না।
তাহলে ডানে দাঁড়ালে কেন? তোমাকে তো মরতে হবে।
রাজার সম্বোধন আপনি হতে তুমিতে নেমে আসে। বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
বল, জল্লাদ প্রস্তুত হও।
কৃশকায় কাঁপছে: বউয়ের জন্য আমার মরতে হচ্ছে।
কেন?
আসার সময় বউ ডানে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল। হুজুর, বউকে বলেছিলাম, বামে দাঁড়াব। কিন্তু বউ ধমক দিয়ে বলেছে; মিনসের পুত যা বলছি তা-ই করবে। আমি বলেছিলাম, তাহলে জল্লাদ আমাকে কতল করে ফেলবে। বউ রেগেমেগে ধাক্কা দেয়: নচ্চার, যা বলি তাই শুন। বামদিক লোকারন্য থাকবে। ডানে কেউ দাঁড়াবে না। বামে অসংখ্য লোকের ভীড়ে তোমার অসুবিধা হতে পারে।
আমি বলেছিলাম: কিন্তু ডানে দাঁড়ালে স্রমাট মেরে ফেলবে।
বউ প্রচণ্ড ধমক দিয়ে বলেছিল: আমার কথার যেন নড়চড় না হয়। হুজুর এ জন্য আমি বউয়ের ভয়ে ডানে দাঁড়িয়েছি। বউয়ের ভয় মৃত্যু ভয়ের চেয়েও ভীতকর।
বউ পছন্দ করে না এমন কাজ কেউ সাধারণত বউয়ের সামনে করে না, করতে পারে না। কিন্তু বউয়ের অগোচরে করে থাকে অনেকে অনেক কিছু। বউ তা জানে না। স্বামীধন ভাবে বউ কী বোকা! কিচ্ছু জানছে না।
কিন্তু বউও যে স্বামীর অবর্তমানে তার চেয়েও খারাপ কিছু করতে পারে তা বোক হদ্দ স্বামী ঘুণারেও ভাবে না। ভাবে তার বউয়ের সীতা। তাই বউ ভাবে স্বামীরা আসলেই হাবা, গর্দভের গর্দভ। স্বামী কত গর্দভ তা রাস্তায় স্বামীর হাতে লাগেজ আর গতরে বাচ্চা দুটোর ভারে ন্যুজ্ব দেখে অনুমান করা যায়।
বউ আর বস উভয়ে সর্বোত্তম প্রত্যয়, আদর্শের কাণ্ডারি, কল্যাণের সাগর।
যা কিছু উত্তম, যা কিছু মানবীয়, যা কিছু যৌক্তিক তা বউ এবং বস। বউ আর বসের সবকিছু অসাধারণ তুলনীহীন এবং গর্বিত প্রকাশ। এর কোন তুলনা নেই।
তাই বউ এবং বসের কাছে সব সময় ছোট থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
No comments:
Post a Comment