সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক
সম্রাট অশোক
পৃথিবীর প্রথম বৌদ্ধ শাসক সম্রাট অশোক পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক। কারণ:
১. তিনিই বিশ্বের প্রথম শাসক, যিনি বিশ্বে প্রথম অহিংস নীতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার সূচনা ঘটান;
২. মানব ইতিহাসে তিনিই প্রথম শাসক, যিনি প্রথম দাসপ্রথা রহিত করেন;
৩. তিনিই প্রথম শাসক, যিনি বিশ্বে প্রথম মৃত্যুদন্ড রহিত করেন;
৪. তিনিই প্রথম শাসক, যিনি বনায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মরুকরণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেন;
৫. তিনিই প্রথম শাসক, যিনি মানব ইতিহাসে প্রথম নারীপুরুষ সমতার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন;
৬. তিনিই প্রথম শাসক যিনি লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করেন;
৭. তিনিই প্রথম শাসক যিনি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ-বৈষম্য দূরীকরণের উপর পাঠদান ব্যবস্থা চালু করেন।
(বিন্দুসারের মৃত্যুর পর সম্রাট অশোক (জন্ম ৩০৪ খ্রিস্টপূর্ব, শাসনকাল ২৯৮-২৭২ খ্রিস্টপূর্ব) সম্রাট হন। তিনি পূর্বে আসাম ও বাংলাদেশ, পশ্চিমে ইরান ও আফগানিস্হান, উত্তরে পামীর গ্রন্থি থেকে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ-ভারত নিজের সাম্রাজ্যভূক্ত করে নেন। এরপর অশোক কলিঙ্গ প্রজাতন্ত্র দখলে উদ্যোগী হন। খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ (মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব ২৬৩) দয়া নদীর ধারে ধৌলি পাহাড়ের কাছে ভীষণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে কলিঙ্গবাহিনীর ১,০০,০০০ সেনা ও মৌর্য সেনাবাহিনীর ১০,০০০ সেনা নিহত ও অসংখ্য নর-নারী আহত হয়। যুদ্ধের বীভৎসতা সম্রাট অশোককে বিষাদময় করে তোলে। তিনি যুদ্ধের পথ ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও অহিংস-নীতিতে সাম্রাজ্য পরিচালনার নীতি গ্রহণ করেন। অশোক দেশে-বিদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে উদ্যোগী হন। তাঁর পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য তিনি শ্রীলংকা পাঠান। এছাড়া তিনি কাশ্মীর, গান্ধার, ভানাভাসী, কোংকন, মহারাষ্ট্র, ব্যাকট্রিয়, নেপাল, থাইল্যান্ড, ব্রহ্মদেশ, লাক্ষাদ্বীপ প্রভৃতি স্থানেও বৌদ্ধধর্ম প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।)
১. তিনিই বিশ্বের প্রথম শাসক, যিনি বিশ্বে প্রথম অহিংস নীতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার সূচনা ঘটান;
২. মানব ইতিহাসে তিনিই প্রথম শাসক, যিনি প্রথম দাসপ্রথা রহিত করেন;
৩. তিনিই প্রথম শাসক, যিনি বিশ্বে প্রথম মৃত্যুদন্ড রহিত করেন;
৪. তিনিই প্রথম শাসক, যিনি বনায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মরুকরণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেন;
৫. তিনিই প্রথম শাসক, যিনি মানব ইতিহাসে প্রথম নারীপুরুষ সমতার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন;
৬. তিনিই প্রথম শাসক যিনি লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করেন;
৭. তিনিই প্রথম শাসক যিনি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ-বৈষম্য দূরীকরণের উপর পাঠদান ব্যবস্থা চালু করেন।
(বিন্দুসারের মৃত্যুর পর সম্রাট অশোক (জন্ম ৩০৪ খ্রিস্টপূর্ব, শাসনকাল ২৯৮-২৭২ খ্রিস্টপূর্ব) সম্রাট হন। তিনি পূর্বে আসাম ও বাংলাদেশ, পশ্চিমে ইরান ও আফগানিস্হান, উত্তরে পামীর গ্রন্থি থেকে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ-ভারত নিজের সাম্রাজ্যভূক্ত করে নেন। এরপর অশোক কলিঙ্গ প্রজাতন্ত্র দখলে উদ্যোগী হন। খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ (মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব ২৬৩) দয়া নদীর ধারে ধৌলি পাহাড়ের কাছে ভীষণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে কলিঙ্গবাহিনীর ১,০০,০০০ সেনা ও মৌর্য সেনাবাহিনীর ১০,০০০ সেনা নিহত ও অসংখ্য নর-নারী আহত হয়। যুদ্ধের বীভৎসতা সম্রাট অশোককে বিষাদময় করে তোলে। তিনি যুদ্ধের পথ ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও অহিংস-নীতিতে সাম্রাজ্য পরিচালনার নীতি গ্রহণ করেন। অশোক দেশে-বিদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে উদ্যোগী হন। তাঁর পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য তিনি শ্রীলংকা পাঠান। এছাড়া তিনি কাশ্মীর, গান্ধার, ভানাভাসী, কোংকন, মহারাষ্ট্র, ব্যাকট্রিয়, নেপাল, থাইল্যান্ড, ব্রহ্মদেশ, লাক্ষাদ্বীপ প্রভৃতি স্থানেও বৌদ্ধধর্ম প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।)
No comments:
Post a Comment