খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম-চতুর্থ শতকের
পূর্ব হতে এদেশে
প্রচলিত কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধ
সংক্রান্ত নানা উপকাহিনী নিয়ে
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২য়
শতকে ‘মহাভারত’ কাব্যগ্রন্থটি রচনা
করেন।
মহাভারতের প্রথম বাংলা
অনুবাদক কবীন্দ্র পরমেশ্বর। তিনি
গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন
শাহ (১৪৯৩-১৫১৮
খ্রিঃ) এর সেনাপতি পরাগল
খানের পৃষ্ঠপোষকতায় মহাভারত বঙ্গানুবাদ করেন। পরাগল
খানের উৎসাহ ও
উদ্দীপনায় ‘মহাভারত’ অনূদিত
হয়েছিল বলে গ্রন্থটি ‘পরাগলী
মহাভারত’ নামে পরিচিতি পায়।
বিশ্বের প্রথম আর্থনীতিক ও রাজনীতিক গ্রন্থ: বিখ্যাত মৌর্য
সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের প্রধান
পরামর্শদাতা কৌটিল্য লিখিত
‘অর্থশাস্ত্র’ নামক গ্রন্থটি বিশ্বের প্রথম
‘আর্থনীতিক ও রাজনীতিক’ গ্রন্থ। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৪-
খ্রিস্টপূর্ব ১৮৫ এর
মধ্যে গ্রন্থটি রচিত।
পৃথিবীর আদিকবি: রামায়ণ রচয়িতা মহর্ষি
বাল্মিকি পৃথিবীর আদিকবি। রামায়ণে ২৪
হাজার শ্লোক ও
৫ শত অধ্যায় রয়েছে। ‘রামায়ণ’ই
পৃথিবীর একমাত্র প্রথম
গ্রন্থ যা সাধারণ একটি
কাব্যগ্রন্থ হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় গ্রন্থ
হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস: প্রাচীন ও
আধুনিক কালের বাংলা
সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস রচয়িতা পণ্ডিত
রামগতি ন্যায়রত্ন। ১৮৭৩
খ্রিস্টাব্দে রামগতি ন্যায়রত্ন রচিত
‘বাঙ্গালা ভাষা ও
বাঙ্গালা সাহিত্যবিষয়ক প্রস্তাব’ বাংলা
সাহিত্যের বিবরণ সম্বলিত ভাষা
সর্ম্পকিত প্রথম ইতিহাস
গ্রন্থ।
বাংলা
ভাষায় কুরআন শরীফের
প্রথম বঅনুবাদক – ভাই
গিরিশচন্দ্র সেন অনুবাদকাল – ১৮৮১-১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ।
বাংলা
ভাষার ইতিহাসে প্রথম
মুসলিম বাংলা গদ্য
লেখক – শামসুদ্দিন মুহম্মদ সিদ্দিকী।
বাংলা
ভাষার ইতিহাসে প্রথম
মুসলিম বাংলা গদ্য
লেখিকা -বিবি তাহেরন
নেছা।
বাংলা ভাষার ইতিহাসে বাংলা
দৈনিকের প্রথম মহিলা
সাংবাদিক – লায়লা সামাদ।
বাংলা
সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক নাট্যকার -মাইকেল
মধুসূদন দত্ত।
বাংলাভাষায় প্রথম
সনেট রচয়িতা – মাইকেল
মধুসূদন দত্ত।
বাংলা
সাহিত্যের প্রথম মুসলমান নাট্যকার – মীর
মোশাররফ হোসেন।
বাংলা
সাহিত্যের প্রথম গীত
কবি -বিহারীলাল চক্রবর্তী।
বাংলা
সাহিত্যে প্রথম যতি
চিহ্ন ব্যবহারকারী – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বাংলা
সাহিত্যে প্রথম চলিত
রীতি ব্যবহারকারী – প্রমথ
চৌধুরী।
মধ্যযুগের প্রথম কাব্য
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ মধ্যযুগের প্রথম
কাব্য। কাব্যটির রচয়িতা বড়ূচণ্ডীদাস মধ্যযুগের আদিকবি। লোকসমাজে প্রচলিত রাধাকৃষ্ণের প্রেমবিষয়ক গ্রাম্য গল্প
অবলম্বনে কবি বড়ূচণ্ডীদাস ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যগ্রন্থটি রচনা
করেন।
মধ্যযুগের প্রথম মহিলা কবি কবি
চন্দ্রাবতী মধ্যযুগের প্রথম মহিলা
কবি। তিনি ছিলেন
চিরকুমারী। ‘দস্যু কেনারাম‘ চন্দ্রাবতীর একটি
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
বিদ্যাসুন্দর প্রণয়কাহিনীর প্রথম রূপকার বিদ্যাসুন্দর কবিদের
অন্যতম সংস্কৃত কবি
বিলহন চৌরপঞ্চশিকা বিদ্যাসুন্দর প্রণয়কাহিনীর প্রথম
রূপকার হিসেবে পরিচিত।
মানবীয় আখ্যায়িকা ধারার প্রবর্তক: মধ্যযুগের বাংলা
সাহিত্য যখন দেবদেবীর মাহাত্ম্য কীর্তণে সয়লাব
তখন আরাকানের বৌদ্ধ
রাজাদের সভায় বাংলা
সাহিত্য চর্চার ব্যতিক্রমী নিদর্শন হিসেবে
কবি দৌলত কাজী
একটি নব ধারার
সূচনা করেন। তিনি
থিরি থুধর্ম্মা বা
শ্রী সুধর্মার (১৬২২-১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ) শাসনামলে লস্কর
উজির বা সমরসচিব আশরাফ
খানের অনুরোধে হিন্দি
কবি সাধনের ‘মৈনাসত’
কাব্যের ভাবানুবাদ অবলম্বনে ‘সতীময়না ও
লোরচন্দ্রানী’ কাব্য রচনা
করে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম
মানবীয় আখ্যায়িকা ধারার
প্রবর্তন করেন।
প্রথম
বাংলা অক্ষর খোদাইকারী – পঞ্চানন কর্মকার।
সম্পূর্ন বাংলা
অক্ষরের নকশা প্রস্তুতকারী -চালর্স
উইলকিনস।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
মুসলিম কবি – শাহ
মুহম্মদ সগীর।
বাংলা
সাহিত্যের প্রথম মুসলিম
মহিলা কবি – মাহমুদা খাতুন
সিদ্দিকা।
ছাপার
অক্ষরে প্রথম বাংলা
বই – কৃপা শাস্ত্রের অর্থভেদ। রচয়িতা
– ম্যানুয়েল দ্যা অ্যাসুম্পাসাও।
বাংলা
সাহিত্যে প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ
– কথোপকথন, রচয়িতা – উইলিয়াম কেরী
, প্রকাশকাল – ১৮০১ সাল।
বাংলা
সাহিত্যে প্রথম উপন্যাস – আলালের
ঘরের দুলাল, রচয়িতা
– প্যারীচাঁদ মিত্র
প্রকাশকাল – ১৮৫৭ সাল।
বাংলা
ভাষার রচিত প্রথম
প্রণোয়পখ্যান -ইউসুফ জোলেখা,
রচয়িতা – শাহ মুহম্মদ সগীর
প্রকাশকাল – ১৪-১৫ শতকের
মধ্যে।. বাংলা সাহিত্যে প্রথম
রোমান্টিক উপন্যাস, কপালকুণ্ডলা
রচয়িতা – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশকাল – ১৮৬৬
সাল।
বাংলা
ভাষায় প্রথম ব্যকরণ
– পর্তুগীজ, বাংলা ব্যকরণ
রচয়িতা – ম্যানুয়েল দ্যা
অ্যাসুম্পাসাও
প্রকাশকাল – ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দ।
বাংলা ভাষায় রচিত
প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ
–বেদান্ত, রচয়িতা – রাজা
রামমোহন রায়, প্রকাশকাল – ১৮১৫
খ্রিস্টাব্দ।
বাংলা ভাষায় রচিত
প্রথম সামাজিক নাটক
-কুলীনকুল সর্বস্ব, রচয়িতা
– রাম নারায়ন তর্করত্ন প্রকাশকাল – ১৮৫৪
খ্রিস্টাব্দ।
বাংলা
ভাষায় রচিত প্রথম
প্রহসন নাটক :একেই
কি বলে সভ্যতা
ও বুড়ো শালিকের ঘাড়ে
রোঁ, রচয়িতা – মাইকেল
মধুসূদন দত্ত, প্রকাশকাল – ১৮৫৯
খ্রিস্টাব্দ।
বাংলা
ভাষায় রচিত প্রথম
নাটক – ভদ্রাজুন রচয়িতা
– তারাপদ সিকদার, প্রকাশকাল – ১৮৫২
সাল।
বাংলা
ভাষায় রচিত প্রথম
ট্রাজেডি নাটক –কৃষ্ণকুমারী রচয়িতা
– মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রকাশকাল – ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ।
বাংলা
সাহিত্যের প্রথম মৌলিক
ট্রাজেডি – কীর্তি বিলাস,
রচয়িতা – যোগেন্দ্র নাথ
গুপ্ত, প্রকাশকাল – ১৮৫২
খ্রিস্টাব্দ।
প্রথম মহিলা ঐতিহাসিক
সম্রাট
হুমায়ুনের ভগ্নী গুলবদন
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
মহিলা ঐতিহাসিক। তিনি
তাঁর ভাই সম্রাট
হুমায়ুনের রাজত্বকালের ইতিহাস
লিখে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম
মহিলা ঐতিহাসিক হিসাবে
খ্যাত হয়ে আছেন।
পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক: সৈয়দ
হামজা পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক।
মধ্যযুগের শেষদিকে পুঁথি
সাহিত্য রচিত হয়।
তাঁর জন্ম ১৭৩৩
খ্রিস্টাব্দে।
মধুমালতি, আমির হামজা
(২য় খণ্ড) জৈগুনের পুঁথি
ও হাতেমতাই সৈয়দ
হামজার বিখ্যাত পুঁথি
গ্রন্থ।
বাংলা গদ্যে লিখিত প্রাচীনতম মুদ্রিত পুস্তক
ঢাকার
ভাওয়ালে অবস্থানকালে পর্তুগিজ পাদরী
ম্যানুয়েল দ্যা আস্
সাম্ ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে ভাওয়ালের প্রচলিত মৌখিক
ভাষায় ‘কৃপা শাস্ত্রের অর্থভেদ’ নামক
একটি পুস্তক রচনা
করেন। পুস্তকটি লিসবনে
রোমান অক্ষরে মুদ্রিত ও
প্রকাশিত হয়। এটি
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বাংলা
গদ্যে লিখিত প্রাচীনতম মুদ্রিত পুস্তক।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ট্রাজেডি
ফারসি
কবি জামির রচিত
‘লায়লী মজনু’ নামক
কাব্যের ভাবানুবাদ অবলম্বনে দৌলত
উজির বাহরাম খান
১৫৬০ খ্রিস্টাব্দ হতে
১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
‘লায়লী মজনু’ নামক
যে কাব্যটি রচনা
করেন সেটি বাংলা
সাহিত্যের প্রথম যথার্থ
ট্রাজেডি হিসেবে স্বীকৃত। এরপূর্বে বাংলা
সাহিত্যে কোন যথার্থ
ট্রাজেডি ছিল না।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম অলৌকিকতা-মুক্ত গ্রন্থ
ফারসি
কবি জামীর ‘লায়লী
মজনু’ নামক কাব্যের ভাবানুবাদ অবলম্বনে দৌলত
উজির বাহরাম খান
কর্তৃক ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দ হতে
১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
রচিত বিখ্যাত কাব্য
গ্রন্থ ‘লায়লী মজনু’
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের প্রথম অলৌকিকতা বিবরণ
মুক্ত গ্রন্থ হিসেবে
স্বীকৃত।
প্রাচীনতম লোকসাহিত্য ও প্রাচীনতম ছন্দ
লোকসাহিত্যের প্রাচীনতম সৃষ্টি
‘ছড়া’। বাংলা
সাহিত্যে যত প্রকার
লোকসাহিত্য আছে তম্মধ্যে ‘ছড়া’
প্রাচীনতম। ছড়ার ছন্দ
বাংলা কবিতার প্রাচীনতম ছন্দ।
ছড়ার পূর্বে বাংলা
সাহিত্যে অন্য কোন
ছন্দ ছিল না।
তাই ছড়াকে বাংলা
লোকসাহিত্যের উৎস বলা
হয়।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের প্রথম মৌলিক-কাব্য
শ্রী
সুধর্মা (রাজত্বকাল ১৬২২-১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ) এর
শাসনামলে কবি মরদন
(অনুমান ১৬০০-১৬৪৫
খ্রিস্টাব্দ) রচিত ‘নসীরনামা’ বাংলা
সাহিত্যের ইতিহাসের প্রথম
মৌলিক-কাব্য। সে
হিসেবে কবি মরদনকে
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
মৌলিক কবি বলা
যায়।
মধ্যযুগের প্রথম মৌলিক কাব্য
চট্টগ্রামের কবি
দৌলত কাজীর ‘সতী
ময়না ও লোর
চন্দ্রানী’ কাব্য গ্রন্থকে মধ্যযুগের প্রথম
মৌলিক কাব্য বলা
হয়।
বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী কাব্য বাংলা
ভাষায় শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম
জীবনী কাব্য বৃন্দাবন দাসের
(জন্ম ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দ) ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত’।
কাব্যটি ১৫৪৮ খ্রিস্টাব্দে রচিত
হয়। রচনাকালে গ্রন্থটি ‘চৈতন্যমঙ্গল’ নামে
পরিচিত ছিল।
মঙ্গলকাব্যের সমাপ্তি কাব্য
মধ্যযুগের শেষ
কবি ভারতচন্দ্র ‘অন্নদামঙ্গল’ রচনার
মাধ্যমে মঙ্গলকাব্য রচনার
সমাপ্তি ঘটান। তিনি
শুধু মঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবিই
নন, সমগ্র মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি
হিসেবেও খ্যাত। তাঁকে
মঙ্গল কাব্য যুগের
শেষ কবি বলা
হয়।
ভাগবত এর প্রথম বাংলা অনুবাদক
মালাধর
বসু ভাগবতের প্রথম
বাংলা অনুবাদক। ১৪৭৩
খ্রিস্টাব্দ হতে ১৪৮০
খ্রিস্টাব্দের
মধ্যে সাত বছরের
নিরলস প্রচেষ্টায় শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পূর্বে
ভাগবতের দশম ও
একাদশ স্কন্ধ অনুসরণে মালাধর
বসু ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্য
গ্রন্থটি রচনা করেন।
বাংলা
সাহিত্যের প্রথম জঙ্গনামা বা
যুদ্ধকাব্য
জঙ্গনামা বা
যুদ্ধকাব্য সংক্রান্ত্র সাহিত্য সৃষ্টির বিষয়ে
মধ্যযুগের মুসলিম কবিরা
অগ্রণী ভূমিকা পালন
করেন। এরপূর্বে অন্য
কোন ধর্মাবলম্বীদের লেখায়
জঙ্গনামা জাতীয় কোন
ধারণা প্রকাশ পায়
নি। পনের শতকে
রচিত জৈনুদ্দিনের ‘রসুল
বিজয়’ মধ্যযুগের প্রথম
জঙ্গনামা বা যুদ্ধকাব্য। অতএব
জৈনুদ্দিনের ‘রসুল বিজয়’
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
যুদ্ধকাব্য।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসিলম প্রণয়োপাখ্যান লেখক: রোমান্টিক সাহিত্য ধারায়
প্রাচীনতম মুসলিম লেখক
শাহ মুহাম্মদ সগীর
(চতুর্দশ শতকের লেখক)
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
প্রণয়োপাখ্যান
‘ইউসুফ জোলেখা’ কাব্যগ্রন্থের লেখক
। তিনি বাংলা
সাহিত্যে প্রথম মুসলমান প্রণয়োপাখ্যানকারী হিসেবে
খ্যাত এবং ‘ইউসুফ
জোলেখা’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম
প্রণোয়পাখ্যান।
প্রথম মুসলমান মহিলা ঐতিহাসিক: সম্রাট হুমায়ুনের ভগ্নী
গুলবদন বাংলা সাহিত্যের প্রথম
মহিলা মুসলিম ঐতিহাসিক। তিনি
তাঁর ভাইয়ের রাজত্বকালের ইতিহাস
লিখে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম
মুসলিম মহিলা সাহিত্যিক হিসেবে
খ্যাত হয়ে আছেন।
তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের প্রথম
মহিলা ঐতিহাসিক হিসেবেও খ্যাত।
তাঁর আগে উপমহাদেশের কোন
মহিলা কোন ঐতিহাসিক গ্রন্থ
লিখেন নি।
পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম মুসলিম লেখক: সৈয়দ হামজা
পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম মুসলিম
লেখক। মধ্যযুগের শেষদিকে পুঁথি
সাহিত্য রচিত হয়।
তিনি জন্ম ১৭৩৩
খ্রিস্টব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম সাহিত্যিক-পুলিশ: বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ
এমদাদ আলী (১৮৭৬-১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ) বাংলা
সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম
মুসলিম পুলিশ যিনি সাহিত্যিক হিসেবেও অপরিমেয় খ্যাতি
অর্জন করতে সক্ষম
হয়েছিলেন। ‘তাপসী রাবেয়া’ তার
একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
মুসলিম সম্পাদিত প্রথম
সাময়িক পত্রিকা
প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক: সাধারণভাবে মীর
মশাররফ হোসেনকে প্রথম
মুসলিম গদ্য রচনাকারী হিসেবে
গুরুত্ব প্রদান করা
হলেও তাঁর পূর্বে
গোলাম হোসেনের ‘হাড়
জ্বালানী’ এবং খোন্দকার সামশুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকীর(১৮০৮-৭০ খ্রিস্টাব্দ) ‘উচিৎ
শ্রবণ’ (১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ) এবং
শেখ আজিমদ্দির ‘কড়ির
মাথায় বুড়োর বিয়ে’
প্রভৃতি গদ্যগ্রন্থ মীর
মশাররফ হোসেনের আগের
লেখা। তবে তাঁদের
উপন্যাসের মধ্যে উপন্যাসের আদর্শমান পুরোপুরি বিকশিত
হয় নি। এজন্য
মীর মশাররফ হোসেনকে বাংলা
সাহিত্যের প্রথম সার্থক
মুসলিম ঔপন্যাসিক বলা
হয়।
প্রথম
সার্থক মুসলিম ব্যঙ্গ
সাহিত্যিক
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আবুল
মনসুর আহমদ বাংলা
সাহিত্যের প্রথম সার্থক
মুসলিম ব্যাঙ্গ সাহিত্যিক। কাজী
দীন মুহাম্মদ বাংলা
সাহিত্যের আরেক বিখ্যাত ব্যঙ্গ
লেখক। ‘গোলক চন্দ্রের আÍকথা’ তাঁর
একটি জনপ্রিয় ব্যাঙ্গ রচনা।
ইকবালের শাকাওয়াত কবিতার
প্রথম বঙ্গানুবাদক, আÍহত্যাকারী মুসলিম
কবি
কবি
আশরাফ আলী খান
ইকবালের শাকাওয়াত কবিতার
প্রথম বঙ্গানুবাদ করেন।
তিনিই বাংলা সাহিত্যের একমাত্র মুসলিম
কবি, যিনি আর্থনীতিক দুরবস্থা ও
পারিবারিক অশান্তির কারণে
আÍহত্যা করেছিলেন।
পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী প্রথম
মুসলিম ওপন্যাসিক: কাজী
এমদাদুল হক (১৮২-১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ) প্রথম
মুসলিম লেখক যিনি
সুনিপন লেখনী ও
বক্তব্যের মাধ্যমে পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে প্রথম
সোচ্চার আন্দোলন শুরু
করেছিলেন। তিনি তাঁর
বিখ্যাত ‘আবদুল্লাহ্’ উপন্যাসের মাধ্যমে পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে প্রথম
কলম ধরেছিলেন। তাঁকে
বাংলা সাহিত্যে পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে প্রথম
আন্দোলনকারী বলা হয়।
মুসলমান রচিত প্রথম সার্থক উপন্যাস ও প্রথম সার্থক নাটক: ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মীর
মশাররফ হোসেনের প্রথম
উপন্যাস ‘রতœাবতী’
মুসলমান রচিত প্রথম
সার্থক উপন্যাস। ১৮৭৩
খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মীর
মশাররফ হোসেনের ‘বসন্ত
কুমারী নাটক’ মুসলমান রচিত
প্রথম নাটক। তাঁর
লিখিত দ্বিতীয় নাটক
‘জমিদার দর্পণ’।
‘জমিদার দর্পণ’ মুসলমান লিখিত
দ্বিতীয় নাটক হিসেবেও খ্যাত।
গ্রন্থটি ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
মুসলমান রচিত প্রথম সার্থক প্রহসন: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মীর
মশাররফ হোসেন রচিত
‘এর উপায় কি’
নামক প্রহসন গ্রন্থটি বাংলা
সাহিত্যের ইতিহাসে কোন
মুসলমান রচিত প্রথম
সার্থক প্রহসন।
মুসলমান রচিত প্রথম পাকপ্রণালী গ্রন্থা: সুধাকর দলের
প্রবর্তনকারীদের
অন্যতম মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দিন আহমদ
(১৮৬২-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ) লিখিত
‘মোসলেম পাকপ্রণালী’ গ্রন্থটি মুসলমান লিখিত
পাকপ্রণালীর বিবরণ সম্বলিত প্রথম
গ্রন্থ। গ্রীস তুরস্ক
যুদ্ধ, তোহফাতুল মুসলেমিন, কৃষক
বন্ধু (কাব্য), হযরত
মোহাম্মদ মোস্তফার জীবনচরিত, আমার
সংসার জীবন প্রভৃতি তাঁর
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
মুসলমান রচিত প্রথম পত্ররচনা শিক্ষাগ্রন্থ: ইসলাম ধর্ম
প্রচারে মুন্সী মেহেরুল্লাহর সহকর্মী মুন্সি
মোহাম্মদ জমিরুদ্দিন (১৮৭০-১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ) রচিত
‘বিশুদ্ধ খতনাম’ গ্রন্থটিই কোন
মুসলমান লিখিত প্রথম
পত্ররচনা শিক্ষা গ্রন্থ।
No comments:
Post a Comment