Translate

Sunday, 24 August 2014

উমেশচন্দ্র বটব্যাল / ড. মোহাম্মদ আমীন

উমেশচন্দ্র বটব্যাল (১৮৫২-১৮৯০৮)

ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত উমেশচন্দ্র বটব্যাল ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ আগস্ট হুগলী জেলার রামনগর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দুর্গাচরণ বটব্যাল। উমেশচন্দ্র বটব্যাল ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রাস, ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা এবং ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে বিএ পাশ করেন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারপূর্বক এমএ পাশ করেন। পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জনের কৃতিত্বস্বরূপ ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ’ বৃত্তি এবং সংস্কৃত ভাষায় অসাধারণ ব্যুৎপত্তির জন্য ‘বিদ্যালঙ্কার’ উপাধিতে ভূষিত হন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন এবং প্রথম হয়ে স্ট্যাটিউটরি সিভিলিয়ান পদ অর্জন করেন।

উমেশচন্দ্রের লেখার বিষয় ছিল বৈচিত্র্যময়। তবে ইতিহাস ও দর্শন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখায় তিনি অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। বাঙালা সাহিত্যের ঐশ্বর্য্য হিসেবে খ্যাত ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ নামকরণ উমেশচন্দ্র বাটবলের প্রস্তাব অনুসারে নির্ধারিত হয়। ‘বৈদিক সোম’ তার প্রথম এবং ‘সংখ্যাদর্শন’ দ্বিতীয় গ্রন্থ। প্রথম গ্রন্থটি বটব্যালের মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হলেও দ্বিতীয় গ্রন্থটি তার মৃত্যুর দুই বছর পর ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। তৃতীয় গ্রন্থ ‘বেদ-প্রবেশিকা’ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুলাই তিনি মৃত্যুবরন করেন।

No comments:

Post a Comment