Translate

Wednesday, 6 August 2014

রবীন্দ্রনাথ ও ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম / ড. মোহাম্মদ আমীন




বাংলা একাডেমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।  রবীন্দ্র গবেষক, কবি, গীতিকার, সুরকার ও প্রাবন্ধিক ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামকে একক প্রবন্ধ পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  অনুষ্ঠানের অবয়ব সজ্জিত করার জন্য সার্বিক বিবেচনায় মনোনীত করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট, ২০১৪ মোতাবেক ২২ শ্রাবণ, বুধবার ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস।
 বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। একক বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।


লায়লা আফরোজের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে রচিত জার্মান বিজ্ঞানি জুলিয়াস হাক্সলির কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির

মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন, প্রফেসর এমেরিটাস আনিসুজ্জামান। আবৃতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রমের সূচনা। তারপর মহাপরিচালকের স্বাগত ভাষণ। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পূর্বে পুরো হলরুম কানায় কানায় ভরে যায়। মহাপরিচালক বলেন, ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিব। অনেক ব্যস্ততার মাঝে থেকেও সাহিত্যকর্মে তিনি যে অবদান রেখে চলেছেন তা অবিস্মরণীয়।  শামসুজ্জামান খান বলেন, রবীন্দ্রনাথের ৭৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রচিত ভূইয়া সফিকুল ইসলামের একক বক্তৃতার খসড়া কপি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ১২ পৃষ্ঠাব্যাপী বিস্তৃত এ প্রবন্ধে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে যে অভিধায় মূল্যায়ণ করেছেন তা গভীর অন্তঃদৃষ্টি ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অগাধ পাণ্ডিত্য ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে এত গভীর পাণ্ডিত্যে  মহপরিচালক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, রবীন্দ্রনাথের ৭৩তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনায় একাডেমি যোগ্য ব্যক্তিকে একক বক্তা নিযুক্ত করেছেন। শামসুজ্জামান খান বলেন, পরিমাপহীন বিশালত্ব রবীন্দ্রনাথকে প্রাণিত করেছে মানবমনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কোণে আলো ফেলতে। মৃত্যুভাবনা তাকে কাতর করেন নি বরং তাঁর জীবনবোধকে পূর্ণতা দিয়েছে। মৃত্যুর প্রতীকে রবীন্দ্রনাথ অমৃতলোকে অবগাহন করেছেন পূর্ণ-প্রশান্তির প্রাঞ্জল মুগ্ধতায়।

চিরঞ্জীব রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক একক বক্তৃতায় ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্রনাথ মানুষকে বিবেকের বিনাশ থেকে রক্ষা করে মানবিক বিবেকে অবিনশ্বর হয়ে থাকার মন্ত্র দিয়ে গিয়েছেন। মানুষ যখন সংকীর্ণ লোভ-লালসার বশবর্তী হয়ে কিংবা ভয়ের তাড়ানায় বিবেক ও সুবিবেচনা বিসর্জন দিয়ে পশ্বধম ক্রিয়াকাণ্ড শুরু করে, তখন সে বিবেক-বিনাশের অপরাধে অপরাধী হয়ে পড়ে। তার মনুষ্যরূপী চাকচিক্যময় অবয়ব থাকলেও আসলে সে মৃত বিবেক, জড় পদার্থ। মানুষ যাতে লোভ-ভয়-মোহ আর মিথ্যায় তলিয়ে অস্তিত্বহীন অমানুষ না হয়ে পড়ে রবীন্দ্রনাথ সে শিক্ষা মানুষকে দিয়েছেন।
 ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের : সবিত্রী পৃথিবী এই/আত্মার এ মর্ত্যনিকেতন/ আপনাকে চতুর্দিকে আকাশে আলোকে সমীরণে/ ভূমিতলে সমুদ্রপর্বতে - - -- ” কবিতা দিয়ে তার ‘চিরঞ্জীব রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামের একক বক্তৃতাটি শুরু করেন । ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ মর জগতে জীবনের অভিপ্রায় শেষ কথা নয়; মৃত্যুর অভিপ্রায়ই শেষ কথা। মৃত্যু রবীন্দ্রনাথকে কোনভাবে বশ করতে
পারে নি। পারে নি বলেই মৃত্যুর ৭৩ বছর পরও, তাঁর অমৃত আত্মার জন্য প্রেম ও পূজার অর্ঘ্য দিতে  আমরা এসেছি। বলতে এসেছি, তুমি আমাদের অস্তিত্বের অংশ। এভাবেই থাকবে চিরকাল। আমাদের সুখে-দুঃখে, বিরহ-প্রেমে, আনন্দ-বেদনায়, সঙ্কটে-সংগ্রামে, সর্বদা-সর্বত্র- আমাদের গণজমায়েতে, যুদ্ধে, অভিসারে, বাসর ঘরে, পূজার মন্দিরে।’
রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অংশ নয় শুধু; নিজেই এখন সাহিত্য- নিজেই সংস্কৃতি। তিনি আমাদের মঙ্গল-চিন্তা বপন করেন, সত্য ও সুন্দর চেনান, তিনি আমাদের দিশা দেন অমৃতের। ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামের ভাষায়, রবীন্দ্রনাথ বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান নির্মাতা। তাঁকে ছাড়া বাঙালির নববর্ষ হয় না, বর্ষা-বসন্ত, শরৎ-হেমন্তের পার্বণ জমে না শুধু তাই নয়; তিনি বাঙালি জাতির সখে ব সখা, প্রাণের বন্ধু, পাথের সাথি। তিনি আমাদের তৃষ্ণার শান্তি, সুখে-দুঃখে, সঙ্কটে-সংগ্রামে, বিরহ-প্রেমে চিরজনমের সহায়।
প্রাবন্ধিক বলেন, শতাধিক বছর আগে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করে রবীন্দ্রনাথ অখ্যাত বাংলা ভাষাকে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন বলেই কি রবীন্দ্রনাথ বাঙালির চিত্তজুড়ে নিজের অক্ষয় আসন পাততে সক্ষম হয়েছেন? এ প্রশ্ন করে প্রাবন্ধিক নিজেই উত্তর দিয়েছেন, ন। শুধু নোবেল পুরস্কার জয় করে কোন সাহিত্যিক একটি জাতির হৃদয়কে চির দিনের জন্য মজিয়ে রাখতে পারেন না। কিন্তু রবীন্দ্রনা পেরেছেন; কেন পেরেছেন তা-ই তিনি একের পর এক অকাট্য যুক্তি দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ লালিত্যে কাব্যিক প্রবন্ধের কানকাড়া বাণীতে তুলে ধরেছেন অবলীলায়।

রবীন্দ্রনাথ কেন চিরঞ্জীব- এ প্রসঙ্গে ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন, ভালোবাসা মরজগতের এক বৃত্তি কিন্তু সে ভালোবাসার সর্বোত্তম প্রকাশ রবীন্দ্রনাথ ছাড়া সম্ভব নয়। প্রেমের বিপরীত ব্যথা-বিরহ, শোক-তাপ, ভোগবাদী মন, নিকৃষ্টতা, প্রতিহিংসা, মৃত্যু, জড়াদ জয়-পরাজয়, দেশপ্রেম, দ্রোহ, বিদ্রোহ সবখানে
রবীন্দ্রনাথ বাঙালি মননশীলতাকে তার সাহিত্যে অপূর্ব দ্যোতনায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাঙালি জীবন ও সাহিত্য-সংস্কৃতি কিংবা প্রাত্যহিক কাজের কোন কিছুই রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে হয় না। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান মৃত্যুভয় থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। শুধু সুরক্ষা নয়, আমাদেরকে স্বজন-বিনাশের আতঙ্ক, ভয় ও দুঃখ থেকেও মুক্তি দেয়। রবীন্দ্রনাথকে ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম সীমারবাঁধনকাটা ও অসীমে মুক্তিদাতা উল্লেখ করে বলেন, এ অসীমে বিরহ-বেদনা, বিচ্ছেদ-মৃত্যু বলে কোন কিছু নেই।

 ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্রনাথ মহাপ্রান্তিকের সর্বজনীন প্রতীক। তার বাণী সর্বজনীন বলে ধর্মীয় নয় এবং ধর্মীয় নয় বলে তা সর্বজনীন এবং সকল মানুষের আত্মার পরম শান্তি ও নির্ঝর প্রশান্তির পরম আশ্রয়। তিনি তাঁর একক বক্তৃতায় গণিতের মতো সূত্র দিয়ে দেখিয়েছেন, সক্রেটিসের অন্যতম উত্তরসুরী রবীন্দ্রনাথ: সত্য যে কঠিন/ কঠিনেরে ভালোবাসিলাম/ সে কখনও করে না বঞ্চনা। রবীন্দ্রনাথ সুরের দেবতার প্রায়োগিক ঋষি। সুর তাঁর কাছে মুক্তি লাভের এক আশ্চর্য পাথেয়। এটাই তার শেষ পারানির কড়ি। সুর
সম্পর্কিত কবির অসামান্য চেতনা বিশ্বের চেতনাকেই বদলে দিয়েছে। মানব দর্শনে এনেছে নতুন অবয়ব। তিনি মধ্যযুগের কবীরের মতো, খ্রিস্টপূর্বকালের পিথাগোরাসের মতো জগৎকে সুরের লীলা ক্ষেত্র মনে করতেন। প্রাচীন যুগের আর্যাবত্ত ঋষিরাও সুরের সাধনা করতেন। রবীন্দ্রনাথ এ সকল চিন্তাধারায় অভিষিক্ত সুরের এক মহাময় ঋষি। অনাদিকালের সুর তার তন্ত্রে তন্ত্রে মুগ্ধ মন্ত্র তুলে নিনাদিত করেছে বাঙালিকে, বিশ্বকে।
ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামের দৃঢ় বিশ্বাস : ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের দুঃখ ও অপূর্ণতাবোধ থেকে মুক্তির বার্তা দেন।’ অপূর্ণতা আমাদের জীবনের অনিবার্য পরিণতি। এ অপূর্ণতা যারা বুঝে তাদের মুক্তি মেলে। যারা তা বুঝে না তারা বিকৃতপথে মুক্তির সন্ধান করে। কিন্তু বিকৃতির পথে মুক্তি নেই। তাই ব্যর্থ মনোরথে তারা হাহাকার করে ওঠে : ‘প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে।’ ও তো জানে না, জীবন কোন তুচ্ছ হাসিখেলা প্রমোদের মেলা নয়। জীবন শুধু উৎসে ফেরার প্রাণান্ত সাধনা। ভাবনায়, কর্মে, সুখে-দুঃখে সর্বদা অপাপ-পুরুষকে হৃদয়ে জাগ্রত রেখে এগিয়ে চললে, উৎসের সন্ধান মেলে, মুক্তি মেলে। অশান্তি আর ক্রন্দন থেকে মুক্তির এ-ই পথ। আমাদের এ শিক্ষা চিরঞ্জীব কবি রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে পাওয়া।

ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন,  আমাদের জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রাসঙ্গিকতা অপরিসীম। আধুনিক কৃষি ব্যাংক, সমবায় চিন্তা, ক্ষুদ্র ঋণ – এ সবের পথিকৃৎও রবীন্দ্রনাথ। তিনি রবীন্দ্রনাথকে অসাম্প্রদায়িক
চেতনার মহান দিশারী আখ্যায়িত করে বলেছেন : রবীন্দ্রনাথের ধর্মচিন্তা শুধু মানবধর্মে আবর্তিত। শিক্ষাহীন, স্বপ্নহীন এক পরাধীন প্রান্তিক ভূখণ্ডে জন্ম নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বমানবে পরিণত হতে সক্ষম হয়েছেন। এটি তাঁর সর্বজনীন চিন্তার কালজয়ী সৃষ্টির রবিময় আলোকের অফুরন্ত শক্তিমত্তার পরিচয়। তাই রবীন্দ্রনাথ সতত, রবীন্দ্রনাথ চিরঞ্জীব।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর এমিরেটাস আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্রনাথকে কঠিন পরীক্ষা, প্রচণ্ড সমালোচনা ও অত্যন্ত বিরূপ পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে এমন পর্যায়ে উপনীত হতে হয়েছে।  অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্রনাথের বিকাশ-প্রকাশ মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না; বরং নৃশংস কণ্টকে বিভীষিকাময় ছিল।  যাত্রাপথে প্রায় প্রতিক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথকে অনেক প্রতিবন্ধকতা, সমালোচনা, বিরোধিতা ও বিরূপ মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবু তিনি অভয় জাগার আনন্দমন্ত্রে নিজে যেমন শুদ্ধ হয়েছেন তেমনি  সবাইকে বৃহত্তর মঙ্গলালোকে প্রবেশের মন্ত্র দিয়ে গেছেন। তিনি ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামের প্রবন্ধের প্রশংসা করে বলেন, রবীন্দ্রনাথের একটা অনবদ্য দিক উন্মোচিত হয়েছে এ প্রবন্ধে।
সাধারণত এ ধরনের বক্তৃতায় শ্রোতাগণের আগ্রহ কিছুক্ষণ পরই তিরোহিত হয়ে যায়। অনেকে ওঠে যায়, আবার অনেকে চোখ মুদে আরাম নেয়, আবার অনেকে শুরু করে আলাপ। কিন্তু ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামের
এ বক্তৃতাটি ছিল একটি ব্যতিক্রম। বক্তৃতা নয়, যেন তৃষ্ণার্থ ধরিত্রীর বৃষ্টির প্রার্থনা। প্রায় ৫০ মিনিটব্যাপী একক বক্তৃতাটি শ্রোতৃবৃন্দের পিনপতন নীরবতার অবাক মুগ্ধতায় শ্রবণ করছিল। যে বহুদিনের কাঙ্খিত সখে ব সখা’ ফিরে এসেছে, এবং তারই কথা শুনছে। বক্তা শ্রোতৃবৃন্দকে বাক্য, শব্দ আর কণ্ঠের ছান্দিকতায় অনিমেষ মুগ্ধতায় পূর্ণ সম্মোহন করে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বক্তব্যটি লিখে আনা-হলেও প্রায় পুরো পঞ্চাশ মিনিটই তিনি না-দেখে রবীন্দ্রনাথের উপর একের পর এক অবাক করা তথ্য ও বাণী দিয়ে দর্শক শ্রোতাদের আপ্লুত করে রেখেছিলেন। বক্তব্যের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাহীন, স্বপ্নহীন এক পরাধীন প্রান্তিক ভূখণ্ডে জন্ম নিয়ে অমৃত মানুষ হয়েছিলেন তিনি। পৃথিবীর মানুষের জন্য তিনি রেখে গেছেন স্বপ্ন-কল্পনা-প্রেম-প্রাণ-সুর-আলো ও শুভচেতনার একগুচ্ছ চাবি। যা অনিমেষ ক্ষমতার অপরিসীম আকাশ হয়ে আমাদের মহাকালের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মহামানবীয় মৃম্ময়তায়।
 একক বক্তৃতা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন লিলি ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, অদিতি মহসিন, সুস্মিতা আহমেদ ও আফরাফ মাহমুদ। যন্ত্রাণুষঙ্গে অবদান রাখেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), আলমাস আলী (বেহালা), ডালিম কুমার বড়ুয়া (কি-বোর্ড) এবং নাজমুল আলম খান (মন্দিরা)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. শাহাদৎ হোসেন নিপু।

No comments:

Post a Comment