Translate

Sunday 24 August 2014

আইসিএস ও প্রতিভাধর সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় / ড. মোহাম্মদ আমীন

অন্নদাশংকর রায় (১৯০৪-২০০২)

আইসিএস অফিসার এবং খ্যাতিমান সাহিত্যিক, গবেষক, ইতিহাসবেত্ত, প্রাবন্ধিক, কবি ও ছড়াকার অন্নদাশংকর রায় ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যার দেনকানালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পারিবারিক কোন্দলের কারণে জন্মস্থান রামেশ্বরপুর গ্রাম হতে বাদরকের ধামনগর গ্রামে চলে এসেছিলেন। আকবরের রাজত্বকালে তার পূর্বপুরুষগণ জীবিকার সুবিধার্থে টোডরমলের শাসন এলাকা হাওড়া হতে রামেশ্বরপুর গ্রামে নতুন বসতি স্থাপন করেন। রেভেনস কলেজ হতে তিনি ইংরেজিতে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন। বাল্যকাল হতে তিনি মেধাবী ও ধীশক্তির অধিকারী একাগ্র ছাত্র হিসেবে শিক্ষক মহলে বিশেষ সমাদরে পরিচিত হয়ে উঠে। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ইস্পিত ফল অর্জনে ব্যর্থ হন। এ ব্যর্থতা তাকে প্রচণ্ড জেদি করে তুলে। তিনি পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের কাছে এ মর্মে প্রতিজ্ঞা করেন যে, আগামী বছর যদি আইসিএস পরীক্ষায় একজন প্রার্থীও উত্তীর্ণ হয়, সেটি হবেন তিনি। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত আইসিএস পরীক্ষায় অন্নদা শংকর রায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন। উল্লেখ্য তিনিই প্রথম উড়িষ্যাবাসী যিনি আইসিএস পাশের বিরল গৌরব অর্জন করেন। তার স্ত্রী লীলা রায় ভারতীয় বংশোদ্ভুত একজন আমেরিকন।

ছাত্রজীবন হতে তিনি ছিলেন সাহিত্যোনুরাগী। লেভ টলস্টয়ের বাংলা অনুবাদ এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘নারীর মূল্য’ উপন্যাস পড়ে ষোলো বছর বয়সে সাহিত্যের প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেন। এ দুটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাহিত্য কর্ম অধ্যয়নের লক্ষ্যে তার কিশোর মন চঞ্চল হয়ে উঠে। এ সময় তিনি পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বিভিন্ন লেখকের গ্রন্থাদি পড়তে শুরু করেন। এভাবে তিনি নিজের অজান্তে সাহিত্য জগতের গভীর প্রেমে পড়ে যায়। যা তাকে সাহিত্য সৃষ্টির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে। স্বতস্ফূর্ত চেতনা আনন্দের মাঝে সৃষ্টি হয়, আনন্দময় কাজ মাত্রই সৃষ্টিশীল সৌকর্ষে বিকশিত। অধ্যয়ন আর আগ্রহ অন্নদাশংকর রায়ের স্বতস্ফূর্ত সাহিত্য জগতে সৃজনশীলতার আনন্দ অবগাহন নিবিষ্ট ভাবুলতায় মৃন্ময় হয়ে উঠার পথ খুঁজে পায়। ফলে তিনি ছাত্র জীবনেই পরিণত বয়সের মত অমর সাহিত্যিক হবার উপাদানে বিভূষিত হয়ে উঠেন।

অন্নদাশংকর রায় শুধু মেধাবী ছিলেন না, ছিলেন একনিষ্ঠ পড়–য়া এবং একাগ্র শ্রোতা। অতি সহজে যে কোন বিষয়ের গভীরে প্রবেশ এবং যথার্থতা অনুধাবনের অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। চাকরিগত কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করতে হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে তার হৃদিক, কার্য ও আচরণগত পরিচয় নিবিড় হয়ে উঠোর সুযোগ পায়। যা তার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে দিন দিন ঐশ্বর্য্যময় প্রাচুর্য্যে ঋদ্ধ করে তুলে। চাকরির পাশাপাশি তিনি সাহিত্যকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন। আজন্ম লালিত অভিজ্ঞতার জীবনবোধ তার সাহিত্যকর্মকে প্রবল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এ অবস্থায় সাহিত্যকর্মের কাছে সরকারি চাকরির পদ-ক্ষমতা-লোভ তুচ্ছ হয়ে দাঁড়ায়। অতঃপর সাহিত্য কর্মে গভীরভাবে মনোনিবেশ করার লক্ষ্যে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে চাকুরি হতে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। চাকরির ছাড়ার সাথে সাথে চাকরাবৃত দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হয়ে তিনি হয়ে উঠেন পরিপূর্ণ মানুষ। প্রকৃতই, একজন চাকরিজীবী কখনও কোন অবস্থায় পরিপূর্ণ মানূষ হতে পারে না। যার স্বাধীনতা নেই, স্বকীয়তা নেই; সে কীভাবে পরিপুর্ণ মানুষ হয়!

চাকরির শৃঙ্খল ছুড়ে দিয়ে অন্নদাশংকর রায় পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠেন। চাকরি নামক গোলামি ছাড়া মানব জীবনের বিকাশময়তার প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে উজ্জ্বল করে তোলার পথ খুজে পান। রাজনীতির ক্ষেত্রে আনন্দশংকর রায় ছিলেন গান্ধীর অহিংস নীতির অনুসারী। গালির জবাব গালি এবং খুনের জবাব খুন হলে পৃথিবী গালি আর খুনে ভরে উঠবে। তাই তিনি প্রতিবাদের কৌশলকে অহিংস নীতির পরাকাষ্ঠে শৈল্পিক কারুকার্যে নন্দিত করার প্রয়াসী। রবীন্দ্রনাথ, টলস্টয়, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম প্রমুখ তার সাহিত্যকর্মের প্রেরণাদাতা। প্রশাসনের একজন সদস্য হিসেবে সাহিত্যস¤্রাট বঙ্কিমের প্রতি অন্নদাশংকর রায়ের শ্রদ্ধামিশ্রিত অনুভূতি সবসময় উদার হয়েই ছিল। রবীন্দ্রনাথ ও প্রথম চৌধুরীর প্রতি অন্নদাশংকর রায়ের আলাদা একটি আকর্ষণ লক্ষ্যণীয়।

১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘তারুণ্য’ আনন্দশংকর রায়ের প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ। গ্রন্থটি প্রকাশিত হবার পর বোদ্ধা মহলে তিনি কথাশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হন। ভাষার অনবদ্য প্রাঞ্জলতা, গভীর অর্ন্তদৃষ্টি, বিষয় নির্বাচনে চমৎকারিত্ব সুধীমহলের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। তার প্রথম দুটি উপন্যাস ‘অসমাপিকা’ এবং ‘আগুন নিয়ে খেলা’ বাংলা উপন্যাসে অন্যরকম স্বাদের উন্মেষ ঘটায়। পুরো নবতর সংযোজনা না হলেও অভিনবত্ব সামান্য ব্যতিক্রমকেও অসামান্য করে তুলে। উপন্যাস দুটি প্রকাশিত হবার পর তার সাহিত্যিক খ্যাতি আরও বিস্তৃত হয়। অনুসরণ বা অনুকরণ কোনটা নয়, সাহিত্যকর্মে তিনি জনারণ্য ভাবনার মিশ্র অনুধাবনের সফল অনুধাবক। যা তাকে ভিন্নতর দ্যেতনায় অভিষিক্ত করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং প্রথম চৌধুরী উভয়ে তার প্রদর্শক। তবে সাহিত্য সৃজনে তিনি তাদের কাউকে যেমন পুরোপুরি অনুসরণ করেননি তেমনি বাদও দেননি। বরং উভয়ের পৃথক ধারার সমন্বয়ে নতুন একটি বিশেষ ধারা সৃষ্টি করেন। যা অন্নদাশংকর রায়ের সম্পূর্ণ নিজস্ব, সম্পুর্ণ আপনগত নির্মোহ দুর্মোহে নির্ঝর প্রশান্তি। এখানে তিনি সবার অনুসারী, সবার প্রাঞ্জলতার সমন্বয়ক হিসেবে বিশালতার সার্বজনীনতায় অধিষ্ঠিত।

১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ অন্নদাশংকর রায়ের সাহিত্য জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ বছর তার লেখা বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনী ‘পথে প্রবাসে’ প্রকাশিত হয়। ইউরোপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে চয়িত এ ভ্রমণ কাহিনীটি বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণ কাহিনীর ভাণ্ডারে একটি অসামান্য সংযোজনা হিসেবে স্বীকৃত। এ গ্রন্থে লেখক ইউরোপকে যেভাবে তুলে এনেছেন- ইউরোপের যুগান্তরের বুক চিরে সাহিত্যের যে মুক্তো পাতায় পাতায় ছড়িয়ে দিয়েছেন তা সত্যি অনবদ্য। ইউরোপের ঈর্ষণীয় অগ্রযাত্রা, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য, আধুনিক সাহিত্য-সংস্কৃতির আলোময় দিকগুলোর সাথে বিভিন্ন অন্ধকার দিকগুলো গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আইসিএস অফিসার হিসেবে লব্ধ অভিজ্ঞতার সফল বিকিরণ ব্যতীত এমন ভ্রমণ কাহিনী রচনা করা সম্ভব হতো বলে মনে হয় না। তিনি সরকারি কাজে ইউরোপ গেছেন, সরকারি কাজ করেছেন, সরকারি কাজের ফাঁকে ইউরোপ দেখেছেন। ইউরোপে অনেকে যান, সবাই দেখেন কিন্তু সবাই ‘পথে প্রবাসে’ সৃষ্টি করতে পারেন না। ফুলে ভ্রমর বসে, মৌমাছি বসে, প্রজাপতিও বসে। ভ্রমর আনে বিষ, মৌমাছি আনে মধু, প্রজাপতি কিছুই না। এখানে প্রশাসক অন্নদাশংকর রায় সংগ্রহ করেছেন মধু। আর কারও পক্ষে এমন ‘পথে প্রবাসে’ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

ছোট সৌন্দর্যের প্রতিভূ কিন্তু ছোট হওয়া, ছোট থাকা কিংবা ছোট কিছু সুন্দরভাবে সৃষ্টি করা খুবই জটিল। এ বিষয়ে অন্নদাশংকর রায়ের প্রতিভা তার অনুধাবন শক্তির মতই চমৎকার। তাই তার ছোটগল্পগুলো পাঠকের মন থেমে জীবন্ত কোড়ক হয়ে ছুটে আসে চোখে। ছোটগল্পকার হিসেবেও অন্নদা শংকর রায়ের দক্ষতা সর্বজন স্বীকৃত। উপস্থাপনার মৃদঙ্গতা, প্রকৃতি, মানুষ, জীবন প্রভৃতির প্রকাশ পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে যেমন নিঁখুত তেমন সাযুশ্যপূর্ণ। সামান্য ঘটনাও তার কলমের আচড়ে অসামান্য হয়ে উঠে, সাধারণ কথাও তার বাক্যে অসাধারণ হয়ে উঠে। ‘পরিহাস (১৯৩৪)’, ‘মনপবন (১৯৪৬)’, ‘কামিনী কাঞ্চন (১৯৫৪) দু কান কাটা, হাসুন সখি, যৌবন জ্বালা, রূপের দায় এবং ‘কথা’ প্রভৃতি অন্নদা শংকর রায়ের উল্লেখযোগ্য গল্পসংকলন।

অন্নদাশংকর রায় ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের প্রচ- বিরোাধি ছিলেন। দেশ বিভাগকে তিনি দেহ বিভাগের চেয়েও নিষ্ঠুর বলে মনে করতেন। এখনও তিনি তা মেনে নিতে পারেননি। দেশ বিভাগের তীব্র সমালোচনা করে তিনি অনেক কবিতা লিখেছেন। প্রবন্ধ গেথেছেন। এ পর্যায়ের কবিতাগুলোর মধ্যে ‘তেলের শিশি ভাংলো বলে খুকুর পরে রাগ করো’ একটি অবিস্মরণীয় কবিতা। বাংলা সাহিত্যে এ রকম জনপ্রিয় কবিতা খুব একটা বেশি নেই। এ কবিতায় তিনি দেশ বিভাগের ক্ষতি, কষ্ট এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার সহজ, প্রাঞ্জল বিছানা সার্বজনীন বোধগম্যতায় মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রেও অন্নদাশংকর রায় সমান দক্ষ। প্রশাসক হিসেবে বিভিন্ন স্থানে চাকুরির অভিজ্ঞতা এবং সহজ গমন তাকে পুরো ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা সম্পর্কে ধারণা পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ‘বাংলার রেঁনেসা’ অন্নদাশংকর রায় লিখিত একটি অসাধারণ গ্রন্থ। এ গ্রন্থে তিনি বাংলার ঐতিহাসিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনকে বিশ্লেষণ করেছেন। বইটি পড়লে বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের পুরো ধারা পাঠকের সামনে আয়নার মতো উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। গবেষক ও নিবিড় পাঠকদের নিকট বইটি এখনও অত্যন্ত জনপ্রিয়। অন্নদাশংকর রায়ের উড়িয়া ভাষায় লেখা ‘সবিতা’ একটি কালজয়ী কবিতা। কবিতাটি ভারতের কলেজ পর্যায়ের পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভূক্ত। বহুভাষাবাসী বিশাল ভারতে উড়িয়া ভাষায় রচিত একটি কবিতার এমন মর্যাদা শুধু অন্নদাশংকর রায়কে নয়; উড়িষ্যাকেও অনবদ্য মর্যাদার আসীনে অধিষ্ঠিত করেছেন। অধিকন্তু অন্নদাশংকর রায়ের সাহিত্যকর্ম প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং গ্র্যাজুয়েশন পর্যায়ে বাংলা সাহিত্য অধ্যয়নের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত।

অন্নদাশংকর রায় গদ্য এবং কবিতা উভয় ক্ষেত্রে ধ্রবতারার মত উজ্জ্বল প্রতিভায় সতত ভাস্বর একজন অতুলনীয় প্রশাসক। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অবিচ্ছিন্ন থেকেও তিনি বাংলা সাহিত্যে যে অবদান রেখেছেন তা শুধু বিস্ময়কর নয়; অবিশ্বাস্যও বটে। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো; আপনার পক্ষে কীভাবে এত লেখা সম্ভব? উত্তরে তিনি বলেছিলেন: কথা কম বললে প্রশাসকদের অনেক সময় বেঁচে যায়। তাসের আড্ডায় নাই বা গেলাম; বই আর লেখা তাসের চেয়ে কিন্তু অনেক বেশি নেশার।

সত্যাসত্য (৬টি উপন্যাস) যার যেটা দেশ, অজ্ঞাতবাস, কলঙ্কবতী, দুঃখমোচন, মর্ত্যরে স্বর্গ, অপসারণ; আগুন নিয়ে খেলা, অসমাপিকা, পতুল নিয়ে লেখা, না এবং কন্যা প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। তারুণ্য, অমরা, জীবনশিল্পী, ইহারা, জীয়নকাঠি, দেশকালপাত্র, প্রত্যয়, নতুন করে বাঁচা, আধুনিকতা প্রভৃতি অন্নদাশংকর রায়ের বহুমুখী প্রতিভার গভীরতার পরিচায়ক। তার লেখা ‘বিনুর বই’ ‘পথে প্রবাসের’ মত আর অতি জনপ্রিয় একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।

২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর এ মহান সাহিত্যিক ও প্রশাসক মৃত্যুবরন করেন।

No comments:

Post a Comment