Translate

Friday 22 January 2016

প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম / ড. মোহাম্মদ আমীন

রাজনীতিবিদ, লেখক, সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ, বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্থপতি এবং তমদ্দুন মজলিস ও বাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ভাষাসৈনিক মোহাম্মদ আবুল কাশেম ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার ছেবন্দি গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে "বরমা ত্রাহি-মেনকা উচচ বিদ্যলয়" থেকে তিনটি বিসয়ে লেটারসহ প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে "চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ" থেকে আই এস সি পরীক্ষায় মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন ৷ তিনি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পদার্থ বিদ্যায় অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে এম, এস, সি, ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিখ্যাত গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অধীনে মাস্টার্সের থিসিস করেছিলেন।প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন শেষ হওয়ার পর প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। প্রভাষক হিসাবে তিনিই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ক্লাস নেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি প্রভাষক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম এদেশের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন বিরল ব্যক্তিত্ব ৷ ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের লক্ষে বাংলা ভাষায় উচ্চ শিক্ষা দানের জন্য তিনি বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ৷ তিনি বাংলায় ৪০টি পাঠ্য পুস্তক রচনা করেন এবং বাংলা একাডেমি, আর্ট কলেজ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সিটি কলেজসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন ৷ তিনি প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম সর্বস্তরে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ও সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়৷তমদ্দুন মজলিসের রাষ্ট্রভাষা সাব-কমিটি এবং পরে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা সৃষ্টি হয়, তিনি সে আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন৷ ভাষা আন্দোলনের অগ্র-সৈনিক প্রিন্সিপ্যাল আবুল কাসেম ছিলেন বাংলা ভাষার জাগ্রত বিবেক।১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২৯ নং আজিমপুরে ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আবুল কাসেম। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক। আবুল কাসেমের উনিশ নম্বরের আজিমপুরের বাড়িটি ছিল ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার। পাকিস্তান সৃষ্টির এক মাসের মধ্যে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রকাশিত প্রথম পুস্তিকা ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ আবুল কাসেমের উদ্যোগে ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।ওই পুস্তিকার প্রস্তাব নিবন্ধে তিনি সুস্পষ্টভাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। এ পুসিত্মকা সম্পর্কেভাষাসংগ্রামী এম আর আখতার মুকুল বলেন, ‘অধ্যাপক আবুল কাসেমের সম্পাদনায় আলোচ্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষাবাংলা না উর্দু’, পুসিত্মকাকেই ভাষা আন্দোলনের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করতেই হয়।’ ড. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন ‘বলা চলে উপরোক্ত পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন প্রতিষ্ঠাতা সূচিত হয়।’১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর উদ্যোগে ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষা সম্পর্কে ফজলুল হক হলে এক সাহিত্যসভারআয়োজন করা হয়। একই সালের ১৭ নভেম্বর দেশের খ্যাতিমান সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের স্বাড়্গর সম্বলিতবাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের দাবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রদত্ত স্মারকলিপির তিনিই ছিলেন মূল উদ্যোক্তা।রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রথম ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলতলায়। তিনি উক্তসভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে তাঁরই নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রভাষার দাবিতে প্রথম প্রতিবাদ মিছিল। ওই সময়বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সরকারের সাথে দেনদরবার, রাজপথের আন্দোলন এবং ভাষা আন্দোলনের স্রোতধারারসাথে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাঁরইউদ্যোগে গঠিত হয় প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ভাষাসংগ্রামী, একাত্তরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃক গণপরিষদেবাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রসত্মাব প্রত্যাখাত হলে এর প্রতিবাদে ২৬ ফেব্রম্নয়ারি ১৯৪৮ তারিখে ঢাকায় এক ছাত্রসভাঅনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম। ২ মার্চ ১৯৪৮ তারিখে সংগ্রাম পরিষদ সম্প্রসারিতকরে গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে রাষ্ট্রভাষা চুক্তি স্বাড়্গরিত হয়। সম্প্রসারিতসংগ্রাম পরিষদ গঠন এবং চুক্তি স্বাড়্গর পর্বে তিনি মূল নেতৃত্ব দিয়েছেন।১১ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হরতালে পিকেটিং করতে যেয়ে তিনি পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। হরতালকে সফলকরতে অধ্যাপক আবুল কাসেম ১ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে বিবৃতি প্রদান করেন। ৩ মার্চ তারিখে আবারও পত্রিকায় বিবৃতিপ্রদান করেন এবং ১০ মার্চ ফজলুল হক হলে তাঁরই আহ্বানে ও সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে তাঁরই উদ্যোগ এবং নেতৃত্বে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সৈনিকপত্রিকা। ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে তিনি গুরম্নত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। একুশেররক্তাক্ত ঘটনার পর তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করা হয়। ২৩ ফেব্রম্নয়ারি, ১৯৫২ তারিখে গভীর রাতে পুলিশ১৯নং আজিমপুর ঘেরাও করলে তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছুদিনের জন্য আত্মগোপন অবস্থায় থাকেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিস্ফোরণ অধ্যায়ের পরিসমাপ্তির পর প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ভাষা আন্দোলনেরচেতনাকে বাসত্মবে রূপ দিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি একে একে গড়ে তোলেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিকও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। যুক্তফ্রন্ট গঠন এবং একুশ দফা প্রণয়নে তাঁর ভূমিকা রয়েছে। ‘একুশ দফার রূপায়ন’ নামক গ্রন'টিলিখে একুশ দফা সম্পর্কে মানুষের ভ্রানিত্ম নিরসনে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিতহয়। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয় ও মুসলিম লীগের ভরাডুবির মধ্য দিয়ে সকল প্রচেষ্টার সার্থকতা প্রমাণিত হয়েছে। তিনিনির্বাচনে জয়লাভ করে আইন সভার সদস্য হন এবং ভাষা আন্দোলনের সফলতার পর্বকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্যধারাবাহিক কার্যক্রম শুরম্ন করেন। বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রথম বাংলার মাধ্যমে উচ্চশিড়্গিত লোক সৃষ্টির যুগানত্মকারী পদড়্গেপগ্রহণ করে তিনি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘ অধ্যাপনাকালে এবং পরবর্তীকালে ভাষা আন্দোলনসহঅন্যান্য পদড়্গেপ নিয়ে স্পষ্ট বুঝতে পারলেন যে, বাংলা মাধ্যমে উচ্চশিড়্গিত লোক সৃষ্টি ছাড়া বাংলাকে সর্বসত্মরে প্রয়োগসম্ভব নয়। তাই তিনি দূরদর্শী পরিকল্পনায় ১৯৬২ সালে বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত করেন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসরচনার ড়্গেত্রেও এই গ্রন' পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে। তিনি উচ্চশিড়্গা ড়্গেত্রে বাংলা পাঠ্যপুসত্মক রচনার পথিকৃত এবংবিজ্ঞান বিষয়ে বাংলা পরিভাষা সৃষ্টির প্রথম সফল রূপকার। বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠার পর বাংলার মাধ্যমে উচ্চ শিড়্গাদানের ব্যবস'া হলেও, শিড়্গাবোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিতপরীড়্গার প্রশ্নপত্র তৈরি হত ইংরেজিতে। তিনি প্রশ্ন প্রস'তকারী কর্তৃপড়্গের নিকট বহু লেখালেখি ও ব্যক্তিগত যোগাযোগসহইংরেজির সাথে বাংলা প্রশ্নপত্র সংযোজনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এরই বদৌলতে প্রশ্ন প্রস'তকারী কর্তৃপড়্গ ইংরেজিরসাথে বাংলা প্রশ্নপত্র সংযোজনের পদড়্গেপ গ্রহণ করে। এভাবে তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যনত্ম বাংলা ভাষার অধিকারপ্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ১৯৯১ সালের ১১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম স্নাতকোত্তর ছাত্রদের জন্য এবং শিক্ষা, ইসলাম, সংস্কৃতি ও রাজনীতি বিজ্ঞানের পাঠ্যবই সহ প্রায় ১০০টি বই রচনা করেন। এর মধ্যে ৪০টি পদার্থবিদ্যার পাঠ্যবই এবং কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয় রয়েছে।সে সময় বাংলা পাঠ্যপুস্তকের অভাব দূর করার জন্য তিনি বাংলা ভাষায় অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছিলেন। তার সুপরিচিত কিছু গ্রন্থের তালিকা দেওয়া হলো : ইসলাম, ইসলাম ও বিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, ইতিহাস, বাংলা কলেজ সম্পর্কীয়, দর্শন প্রভৃতি বিষয় নিলে লেখা পুস্তকসমূহের মধ্যে : ইসলাম কি দিয়েছে ও কি দিতে পারে, বুঝে নামাজ পড়, ইসলামের রাষ্ট্রী্য় আদর্শ,ইসলামী মেনিফেস্টো,একমাত্র পথ, ঘোষনা,আধুনিক চিন্তাধারা, বিজ্ঞান বস্তুবাদ ও আল্লাহর অস্তিত্ব, বিবর্তনবাদ সৃষ্টিতত্ত্ব ও আল্লাহর অস্তিত্ব, বিজ্ঞান সমাজ ধর্ম, কোরানিক অর্থনীতি, পাকিস্তানের অর্থনীতি, তৃতীয় ব্লক আন্দোলন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা: বাংলা না উর্দু?, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, আমাদের অতীত, বাংলা কলেজের চাকরীর নিয়মাবলী, বাংলা কলেজ প্রসঙ্গে, বাংলা কলেজ কি, কেন, এবং কিরুপ, ঈর্ষা বনাম সাধনা, বাংলা কলেজের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ, শাসনতান্ত্রিক মুলনীতি, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে শ্রেণীসংগ্রাম, মুক্তি কোন পথে, ইসলামী রাষ্টনীতি, আমাদের ভাষার রুপ, বাংলা প্রচলনের কয়েকটি সমস্যা, অফিস-আদালত ও শিক্ষার বাহনরুপে বাংলা প্রচলনের সমস্যা, সহজ বাংলা, একুশ দফার রুপায়ন, কৃষক ভাইয়ের জমি চাই, শ্রমিক ভাইয়ের জমি চাই, দুইটি প্রশ্ন,ভুলের পুনরাবৃত্তি,রাষ্টবিজ্ঞান,সংগঠন, আধুনিক কারবার পদ্ধতি, ছাত্র আন্দোলন, প্রবন্ধ মঞ্জুষা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।পাঠ্যপুস্তক উচ্চমাধ্যমিক পদার্থিকা, ১ম খন্ড,উচ্চমাধ্যমিক পদার্থিকা, ২য় খন্ড,উচ্চমাধ্যমিক ল্যাবরেটরী পদার্থিকা,উচ্চমাধ্যমিক রসায়ন, ১ম খন্ড (অজৈব),উচ্চমাধ্যমিক রসায়ন, ২য় খন্ড (জৈব),উচ্চমাধ্যমিক ল্যাবরেটরী রসায়ন,mউচ্চমাধ্যমিক এলজেব্রা, উচ্চমাধ্যমিক ক্যালকুলাস, উচ্চমাধ্যমিক জ্যামিতি,উচ্চমাধ্যমিক ডিনামিক্স,উচ্চমাধ্যমিক ত্রিকোনমিতি,উচ্চমাধ্যমিক স্টেটিস্ক,বিজ্ঞান প্রকাশ (৭ম ও ৮ম শ্রেণীর),বিজ্ঞান প্রকাশ (৯ম ও ১০ম শ্রেণীর),মাধ্যমিক ত্রিকোনমিতি, ডিগ্রি পদার্থিকা, সহজ পদার্থিকা, ১ম খন্ড;সহজ পদার্থিকা, ২য় খন্ড;সহজ রসায়ন, ১ম খন্ড; সহজ রসায়ন, ২য় খন্ড;ল্যাবরেটরী রসায়ন (৯ম ও ১০ম শ্রেণীর),ল্যাবরেটরী পদার্থবিজ্ঞান (৯ম ও ১০ম শ্রেণীর),ল্যাবরেটরী জীববিজ্ঞান (৯ম ও ১০ম শ্রেণীর) প্রভৃতি।ইংরেজি ভাষায় লেখা তাঁর গ্রন্থসমূহের মধ্যে Islam Science & Modern Thoughts, Universal Ideology in the Light of Modern Thought, Degree Physics, General Properties of Matter, New Physics (1st part), New Physics (2nd part), Inter Physics Tutor part 1, Inter Physics Tutor part 2, Laboratory Physics প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।জাতীয় স্বীকৃতি হিসাবে তিনি বাংলা কলেজ ছাত্র মজলিস সমিতি পুরস্কার ও রাইর্টাস গিল্ড পুরস্কার (১৯৬৪), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক(১৯৮৭),স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৩), ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার ও চট্টগ্রাম সমিতি পদক (১৯৮৮) এবং জাতীয় সংবর্ধনা স্বর্ণপদক (১৯৮৯) লাভ করেন ৷১৯৯১ সালের ১১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।

No comments:

Post a Comment